লালমনিরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রার্থীরা দালালের হাতে জিম্মি
লালমনিরহাট সংবাদদাতা: লালমনিরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দালালের মাধ্যম ছাড়া কাগজ প্রসেস হয়না। ২৫০ জন প্রকৃত তথ্য গোপন রেখে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুনরায় পাসপোর্টের আবেদন করায় তাদের ওই সব আবেদন আটকা পড়েছে।
রহস্যজনক হলেও তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করার বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করছে না কর্তৃপক্ষ । অপরদিকে লালমনিরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি স্থানীয় দালাল শাহ আলম গং জিম্মি দশা করে রেখেছে।
পাসপোর্ট প্রার্থীরা আবেদন ফরম প্রসেস এর নামে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নির্ধারিত ফি বাবদ ১ হাজার থেকে ১২শত টাকা অতিরিক্ত উৎকোচ দালালদের হাতে দিয়ে বাকী কাজ সম্পন্ন করতে হয় বলে জানা যায়। গত ২০১৮ থেকে ২০১৯ ইং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ হাজার ১ শত ৯ জন পাসপোর্ট পেয়েছে বলে ওই অফিসের উপ সহকারী পরিচালক এ কে এম মোতাহার হোসেন সাংবাদিকদের জানান।
হয়রানির শিকার একাধিক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে পাসপোর্ট অফিসে দেখা যায়, মাসুদ নামের একজন কর্মচারীর সহযোগিতায় শাহ আলম গং পাসপোর্ট প্রার্থীদের নিকট ফরম সংগ্রহ ও যাবতীয় তথ্য পূরণ বাবদ অতিরিক্ত উৎকোচ আদায় করেছে। সূত্র জানায়, মাসুদুর রহমান নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত থেকে কি ভাবে পাসপোর্ট প্রার্থীদের ফরম পূরণ কিংবা সহযোগীতার নামে উৎকোচ নিতে পারে বলে প্রশ্ন সাধারণ জনগনের? এমন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে উপ সহকারী পরিচালক এ কে এম মোতাহার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। ভুক্তভোগীরা পাসপোর্ট অফিসটি দুর্নীতিমুক্ত হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।